বিলোনা সরের ঘি সম্পর্কে জানুন, তারপর অর্ডার করুনঃ 

পুরো লেখা সম্পুর্ণ পড়লেই আসল কাহিনি জানতে পারবেন।

বিলোনা অর্থ মন্থন বা চার্নিং। দেশি গাভীর দুধ বিশেষ প্রক্রিয়ায় জাল করে ন্যাচারাল ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ায় সারারাত রেখে দই তৈরী করা হয়। সেই দইকে নির্দিষ্ট পাত্রে রাখা হয়৷

তারপর  বিশেষ ডিজাইনের তৈরী এক প্রকার ঘুটনির মাধ্যমে ডানে বামে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দই হতে বাটার বের করা হয়।  এই মাখন তৈরীর পদ্ধতিকেই বিলোনা বা চার্নিং পদ্ধতি বলে। এই বাটার বা মাখন অল্প আঁচে দীর্ঘ সময় ধরে জাল করে তৈরী করা হয় প্রাচীন এই বিলোনা আয়ুর্বেদিক ঘি।

বিলোনা ঘি কে কেন আয়ুর্বেদিক সুপার ফুড বলা হয়: 

প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে যে ঘি’র কথা বলা আছে এবং ঘি’র যে সকল গুণাগুণ বা পুষ্টি উপাদানের কথা প্রচার করা হয়, তার সকলই বিদ্যমান থাকে যে ঘি’তে তার নাম- বিলোনা ঘি।

প্রকৃত ঘি হচ্ছে বিলোনা পদ্ধতিতে তৈরি ঘি। উপমহাদেশের প্রাচীন সুপারফুড হচ্ছে এই বিলোনা ঘি। এই ঘি অনেক বেশি কষ্টসাধ্য এবং অনেক সময় সাপেক্ষ তাই বানিজ্যিক ভাবে আমাদের দেশে আগে ছিলোইনা।

বিলোনা ঘিতে ভিটামিন এ, বি, ডি, কে এবং ই এবং অ্যালানাইন, লিউসিন, অ্যাসপার্টিক অ্যাসিড, সেরিন, প্রোলিন, ভ্যালিন ইত্যাদি অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়ামও রয়েছে।

এই ঘি কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড (CLA) ওমেগা-৬ সমৃদ্ধ এবং এর সম্ভাব্য স্বাস্থ্য উপকারিতা যেমন অ্যান্টিকার্সিনোজেনিক, অ্যান্টিএথেরোজেনিক, অ্যান্টিডায়াবেটিক এবং অ্যান্টি-অ্যাডিপোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (DHA) এবং মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (MUFA) বেশি পরিমাণে রয়েছে।

ক্রিমের ঘি এর চেয়ে বিলোনা ঘি এর স্বাদ ঘ্রান সম্পূর্ণ আলাদা ও আয়ুর্বেদিক পুষ্টি উপকারীতা সবচেয়ে বেশি। যদি ঘি এর সম্পূর্ণ উপকারীতা পেতে হয় অবশ্যই বিলোনা সরের ঘিটাই খেতে হবে। আর ক্রিমের ঘি এর চেয়ে এই ঘি এর দাম তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।

কেন বিলোনা ঘি এর দাম ক্রিমের ঘি’এর চেয়ে বেশি?

ক্রিমের ঘিঃ গরুর দুধ হতে ক্রিম সেপারেটর মেশিনের মাধ্যমে ক্রিম বা ফ্যাট আলাদা করা হয় যা চুলায় হাই হিটে ৩-৪ ঘন্টা জাল করে ঘি তৈরী করা হয় যা শুধুমাত্র ১০-১২ ঘন্টার প্রসেস। এটাই বাংলাদেশের বানিজ্যিক পদ্ধতি।  বিলোনা পদ্ধতির চেয়ে কম সময় এবং কম পরিশ্রম হয় যেকারণে একদিনেই অধিক পরিমাণে ঘি তৈরী সম্ভব হয়।

আর বিলোনা পদ্ধতিতে অনেক সময় এবং পরিশ্রম বেশি এবং দুধের পরিমাণও বেশি লাগে তাই এই ঘি এর দাম বেশি এবং বাংলাদেশে এই পদ্ধতির বানিজ্যিকভাবে তেমন তৈরী হতোনা বললেই চলে।

তবে বর্তমানে কষ্ট লাঘব করার জন্য হস্তচালিত চার্নার বাদ দিয়ে মোটর চালিত চার্নার দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দই হতে বাটার বের করে সেই বাটার জাল দিয়ে বিলোনা ঘি করছে আসলি।

তবে এই পদ্ধতিতেও প্রায় ২ দিন সময় লাগে ঘি তৈরি করতে। এরপর লিকুইড ঘি আরও ৪-৫ দিন বিশেষ পাত্রে রেখে ঘি দানাদার করা হয়।

পুরো প্রসেস টাই অনেক বেশি বেশি সময় ও ব্যয়বহুল। যেখানে ক্রিমের ঘি খুব সহজেই হয়ে যায়। তাই দামও তুলনামূলক বিলোনা ঘি এর চেয়ে কম। যা আমাদের আসলি পেইজে ভিডিওতে দেখতে পাবেন।

Related products

  • Choose an option5kg10 kg

Choose an option500 gm1 kg

Leave a Comment

Your email address will not be published.